স্বদেশ ডেস্ক:
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েছে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা পাঁচ শতাধিক গাড়ি। ঘাটে ফেরি থাকলেও আনলোড করা যাচ্ছে না সময়মতো। ফলে এ পথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। এ ঘাটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পাড়ি দিতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বাড়তি যানবাহনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি কম থাকায় বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপারে বেশি সময় লাগছে। এতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড থেকে পন্টুনের অভিমুখ পর্যন্ত যানবাহন সারি। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ আগের দিনের তুলনায় চার গুণ।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়ছে। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। একটি ফেরি ঘাটে ফিরলেই শত শত মানুষ ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
এদিকে তীব্র গরমে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে নাড়ির টানে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া মানুষজন। এই নৌপথে ফেরিতে ভারী যানবাহন পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় হালকা যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীদের ভোগান্তি এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পারাপারের জন্য। প্রচুর সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রীরা আসছেন।
বিআইডাব্লিউটি-এর শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, এ রুটে আরো পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বাড়ানো হয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি দুই রুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসি’র পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার গাড়ি পারাপার করেছি। ১০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমরা তো একসাথে সবাইকে পার করতে পারবো না।